,

জগন্নাথপুরের ১১৪ নং দক্ষিণ প্রভাকরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ২নং পাটলী ইউনিয়নের ১১৪নং দক্ষিণ প্রভাকরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগনের উপস্থিতিতে সরকারী বিধি মোতাবেক সর্বসম্মতি ক্রমে ১জন পূরুষ ও ১ জন মহিলা বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচিত করা হয়। বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচনের পর সরকারের প্রজ্ঞাপনের আলোকে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি হলেন মাধ্যমিক শিক্ষক প্রতিনিধি সাইকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎসাহী সদস্য পুরুষ মো: খলিল মিয়া, সদস্য বিদ্যুৎসাহী মহিলা সদস্য তাছলিমা বেগম, সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ ফাহমিদা সুলতানা,সদস্য স্থানীয় ইউ/পি সদস্য ছায়াদুর রহমান ছায়াদ, সদস্য বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা নাজমা বেগম, সদস্য পুরুষ অভিবাবক মো: কামাল আহম্মদ, সদস্য পুরুষ অভিবাবক নূর মিয়া, সদস্য মহিলা অভিভাবক মোছা: সুলেহা বেগম, মোছা: আয়শা বেগম, সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি মো: আবুল কাশেম। কমিটি গঠনের পর বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচনে নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি বলে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রভাকরপুর গ্রামের শাহ্ জামাল গং ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ ফাহমিদা সুলতানা জানান, সরকারের সকল নিয়ম নীতি মেনে বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষিকা বলেন অভিযোগের বিষয়টি শুনেছেন বলে দাবী করে বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি ও পুরুষ বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো: খলিল মিয়া জানান, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক , বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীর উপস্থিতিতে অধিকাংশ উপস্থিতির সম্মতিক্রমে আমাকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচিত করা হয়। আমি ও আমার পরিবার অনেক দিন যাবত আমাদের দক্ষিণ প্রভাকরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। ইতিপূর্বে বিদ্যালযের শিক্ষক সংকট থাকায় আমাদের পরিবারের অর্থায়নে দুইজন প্যারা শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন যাদের কাম্য নয় তারা বিদ্যালয়ের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *